জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা নতুন ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, অতীতের মতোই নিজেদের অনিয়ম ও ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার একক কিংবা যৌথভাবে কোনো চক্রান্ত করছে কি না- তা পরিষ্কার হওয়া দরকার। এছাড়া ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম কোনো সংবাদ সম্মেলন বিএনপির। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও ছিলেন উপস্থিত৷
ব্রিফিংজুড়ে ছিল শুধুই সরকারের সমালোচনা আর নিজ দলের অবস্থান নিয়ে। যদিও লিখিত বক্তব্যের কোথাও ছিল না সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতার প্রসঙ্গ।
গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেন, নিজেদের অনিয়ম দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতেই অতীতের মতো সরকার সীমান্তে অস্থিরতায় আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। এতে সরকারের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন তিনি।
নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, শিগগিরই আসবে সরকার পতন আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি।