দেশের ১১২তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ’ কে পাঠদান পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২৭টি শর্ত দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৬ ধারা অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে স্থাপন ও পরিচালনার নিমিত্তে অনুমতি প্রদান করা হয়। অতঃপর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কর্তৃক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত কমিটি গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে। ওই পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৭টি শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে ছয়টি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারবে। প্রোগ্রামগুলো হলো– বিএ (অনার্স) ইন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, এমএ ইন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, বিএসসি ইন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ)।
২৭টি শর্তের মধ্যে রয়েছে– বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত ক্যাম্পাস হবে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায়, সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রোগ্রাম অবশ্যই ডুয়েল সেমিস্টার (দুই সিমিস্টার) ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে ও অনুমোদিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না প্রভৃতি।
এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল ২২টি শর্তে নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এফবিবিসিআই সাবেক সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
ইউজিসির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৪টিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি রয়েছে। এ ছাড়া ছয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়া হয়নি আর বাকি চারটি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।