প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে সৌদি-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ শেখ হাসিাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, তাই গেল নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা ‘অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা’ বলে খবর প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
‘বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান, শেখ হাসিনার পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ’ শিরোনামে গেল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিবন্ধ প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের ইংরেজি সংবাদপত্র আরব নিউজ। সম্প্রতি বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি এবং শেখ হাসিনার পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়।
এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বিস্ময়কর বলেও অভিহিত করা হয়েছে নিবন্ধে।
এতে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতাসীন নারী সরকারপ্রধান হয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বয়কটের পরও ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতিতে, এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলতে কোনো বাধা নেই বলে উল্লেখ করা হয় আরব নিউজের প্রতিবেদনে।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনটি আরব পার্লামেন্ট, ওআইসিসহ ৪০ দেশের পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছে চীন ও ভারত। দেশ দুটি বাংলাদেশের অনেক মেগা প্রজেক্টের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক জোগানদাতা।
অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়াও। দেশটি বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থনৈতিক জোগানদাতা। বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নয় বলে উল্লেখ করেছে। চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যপন্থি রাষ্ট্রগুলোকে শক্তিশালী করা এবং এই অঞ্চলে চরমপন্থারোধে অপ্রয়োজনীয় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে নিবন্ধে বলা হয়।
তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছেন। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনা স্থায়ী না-ও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।