ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে দেশের ১৩০ মিলিয়ন লোকাল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর খিলক্ষেতের লা মেরিডিয়ান হোটেলের স্কাইবল হলরুমে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা প্রদানকারী গ্রামীণফোনের প্রথম ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপসিটি’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে স্মার্ট অ্যাপ উদ্বোধন করলো গ্রামীণফোন। এই অ্যাপের মাধ্যমে দেশের ১৩০ মিলিয়ন লোকাল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি খাত ব্যবসা করবে, সরকার সেই ব্যবসা করতে সাহায্য করবে। তাহলেই দেশ স্মার্ট হিসেবে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। গ্রামীণফোন এটি খুব ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে।’
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গ্রামীণফোন ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য গ্রামীণফোন বুঝতে পেরেছে। তাই তারা ‘অ্যাপসিটি’ নামে এমন স্মার্ট অ্যাপ উদ্বোধন করেছে। এই অ্যাপের ট্যাগ লাইন ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, স্মার্ট বাংলাদেশ’ যা কি-না স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যকেই এগিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট জাতির জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ‘অ্যাপসিটি’ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
উদ্ভাবনে গ্রামীণফোনের অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তরুণদের সম্পৃক্ত করতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যাপসিটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণই এটি গড়ে তুলবে। একটি স্মার্ট জাতি গড়ার লক্ষ্যে অ্যাপসিটির জন্য আয়োজিত হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এসময় গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান পেটার-বরে ফারবার্গ বলেন, গ্রামীণফোন ‘অ্যাপসিটি’ গড়ে তোলায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি শুধু ডেভেলপারদেরই ক্ষমতায়ন করবে না। পাশাপাশি সমৃদ্ধ গ্রাহক অভিজ্ঞতার অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এই ইন্ডাস্ট্রি ফার্স্ট উদ্যোগটি দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে অবদান রাখার জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অ্যাপসিটি এর মাধ্যমে আমরা আরও কানেক্টেড এবং স্মার্ট ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছি। এই প্ল্যাটফর্মটি একটি স্মার্ট অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, এবং টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করে। শুধু প্রথাগত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নয়, আমাদের উদ্দেশ্য মানুষেকে সংযোগের আওতায় এনে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। গ্রামীণফোন অত্যাধুনিক আইসিটি এবং আইওটি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তার পোর্টফোলিওকে ঢেলে সাজিয়েছে, যাতে একটি আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের গতিশীল চাহিদা পূরণে আমরা এগিয়ে থাকি।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের উদ্ভাবনী সেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। পণ্যের সহজীকরণ এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব। জিপিফাই এর মতো স্মার্টহোম সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম। চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ আলোর স্মার্টলাইফ সম্পর্কে কথা বলেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের উদ্ভাবনী আইওটি প্রোডাক্ট লাইন ও অ্যাপ।