সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। এ তথ্য জানিয়েছে সিরিয়াভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর ব্যবহৃত প্রায় ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্ত্রের গুদামসহ ২৬টি স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়। ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন। এর জবাবে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন,
‘আমরা জবাব দেয়া শুরু করেছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনামতো জায়গাগুলোতে এখন হামলা চালিয়ে যাব। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চায় না। কিন্তু কেউ যদি কোনো মার্কিনির ক্ষতি করে তাহলে আমরা তার জবাব অবশ্যই দেব।
এর আগে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সিইএনটিসিওএম) জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এলিট বাহিনী কুদস ফোর্স ও তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার সাতটি স্থানে ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।