মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুরে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার নুসরাত তারিন তুন্নির নানা প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা, হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে বাইরের ক্লিনিকে গিয়ে রোগী দেখাসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দু’জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে ডামুড্যা থানা পুলিশ।
মেহেদী হাসান, শামীমা, মন্টি, জাহিদুল মৃধা, দেলোয়ারসহ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডা. নুসরাত তারিন তুন্নি হাসপাতালে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই বের হয়ে যান প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখতে। ডামুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকেই এভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, তার স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম রাফি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় ও হাসপাালের মেডিক্যাল অফিসার। তাই স্বামীর ক্ষমতাবলে রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাসপাতালে রোগী না দেখার কারণে স্থানীয় লোকজন বেশ কিছুদিন ধরেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বুধবার এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ডাক্তার নুসরাত তারিন তুন্নির সাথে। এসময় তার স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম রাফি স্থানীয় এক ওষুধ রিপ্রেজেনটেটিভ শহীদুল ইসলামকে বেধম মারধর করে। এ ঘটনায় ডামুড্যা থানা পুলিশ মীমাংসার কথা বলে বুধবার রাতে ভিকটিম শহীদুল ইসলামকে থানায় ডেকে নিয়ে আটক করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুলহাস মাদবরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
দিনভর নানা নাটক শেষে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করেছে ডামুড্যা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. নুসরাত তারিন তুন্নির সাথে বার বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ডা. নুসরাত তারিন তুন্নির স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম রাফি বাদী হয়ে একটি মারামারির মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আটককৃত দু’জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছ