ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তিনি পদত্যাগ করেন।
জেএমএমের সংসদ সদস্য মহুয়া মাঝি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছি, বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে হেমন্ত সোরেনের সরকারি বাসবভনে তাকে প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যার দিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যপালের (গভর্নর) ভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন হেমন্ত। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি।
২০০২ সালের আইন প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ৫০ ধারার অধীন একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোরেনকে গত মাসে তলব করেছিল ইডি। রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে অবৈধ খনন এবং জমি কেলেঙ্কারির দুটি মামলা ইডিতে তদন্তাধীন।
মহুয়া মাঝি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইডি হেফাজতে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ইডি টিমের সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন পদত্যাগপত্র জমা দিতে। চম্পাই সোরেনই হবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী…আমাদের কাছে যথেষ্ট সংখ্যায় বিধায়ক আছেন।’
দিল্লির বাসভবনে ইডির তল্লাশির প্রতিবাদ করেছেন হেমন্ত সোরেন। তিনি তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট আইনের ধারায় ইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলাও করেছেন।
সোরেন অভিযোগ করেছেন, ইডি দিল্লিতে তার বাসভবনে ‘তাকে এবং তার সমগ্র সম্প্রদায়কে হয়রানি ও অপমান করার জন্য’ তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে।
এদিকে রাঁচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার চন্দনকুমার সিনহা ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘কিছু ঊর্ধ্বতন ইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে… আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই মর্মে আবেদন পেয়েছি।’