বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তব হয়নি। জালিয়াতির মামলায় সুকেশ বর্তমানে তিহাড় জেলে। এবার ঘটনা আরও নতুন মোড় নিচ্ছে।
২০০ কোটি ভারতীয় রুপি তছরুপের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এর আগে জেলে থেকেই জ্যাকলিনের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন সুকেশ।
সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লি হাইকোর্টের সামনে যুক্তি দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে।
সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানাতে আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।
‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি। এমনকি জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ তথ্য মুছে ফেলেছিলেন, প্রমাণ নষ্ট করার জন্য। তিনি তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’ এমনটা জানায় ইডি।
হলফনামায় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
ইডির আনা এ হলফনামার জবাব দেয়ার জন্য সময় দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।
গত বছর তিহাড় জেল থেকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন সুকেশ। যেখানে দোল উপলক্ষে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জ্যাকলিনকে। চিঠিতে ‘বেবি গার্ল’ সম্বোধন করে সুকেশ লিখেছেন, আমি আমার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটাকে দোলের শুভেচ্ছা জানাই। কথা দিচ্ছি, তোমার জীবনের ফিকে হয়ে যাওয়া সব রঙ ফিরিয়ে দেব। ১০০ গুণে ফিরিয়ে দেব। তুমি জানো, আমি কত দূর যেতে পারি তোমার জন্য। আমার বেবি গার্ল। সব সময় হাসিখুশি থেকো তুমি।’
