২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে শেষবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই আসরে আর্জেন্টিনার সাফল্যের কারিগর ছিলেন লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া জুটি। অলিম্পিক স্বর্ণ জেতার ১৪ বছর পর এই জুটির হাত ধরেই বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপাও জেতে আলবিসেলেস্তেরা। তাই অলিম্পিক ফুটবলের খরা ঘুচাতেও মেসি-দি মারিয়া জুটির কথা ভাবছেন অনেকেই।
প্যারিস অলিম্পিকে মেসি-দি মারিয়া আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করুক -এমনটাই আর্জেন্টাইনদের গণদাবী। এই টুর্নামেন্টে সাধারণত কোনো দেশের অনূর্ধ্ব ২৩ দল খেলে থাকলেও সর্বোচ্চ তিনজন ২৩ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলানো যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই আর্জেন্টিনার এই প্রজন্মের এই সেরা দুই তারকাকে খেলাতে চান অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো।
তবে প্যারিস অলিম্পিকে খেলার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। দেশটির গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কোপা আমেরিকাই আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার শেষ টুর্নামেন্ট।
বিশ্বকাপ জয়ের পরই বেশ স্পষ্টভাবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন এই উইঙ্গার। জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোপা আমেরিকা খেলে তুলে রাখবেন আর্জেন্টিনার জার্সি। তবুও বিভিন্ন দেশের গনমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে থাকে, প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যাবে তাকে আকাশী নীল জার্সিতে।
শুধু ডি মারিয়া নন, এই গুঞ্জনে জুড়ে দেয়া হয় লিওনেল মেসিরও নাম। যে বিষয় নিয়ে সম্প্রতি কথাও বলেছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ স্ক্যালোনি। তবে সব কথা একদিকে, এবার নিজের অবস্থান আরো স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করলেন আর্জেন্টিনার গেল তিন ফাইনাল জয়ের নায়ক।
ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি না অলিম্পিক গেমসে খেলার কোন সম্ভাবনা আছে আমার। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। কোপা আমেরিকা শেষ করেই বিদায় বলবো আর্জেন্টিনাকে। অবসর নেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। কারণ নতুনরা প্রস্তুত হয়ে গেছে।’
সম্পর্ক পাকা হলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির ভবিষ্যৎও আপাতত কোপা আমেরিকা পর্যন্ত। এফএ’র সঙ্গে দ্বন্দের অবসান হয়েছে বলেও খবর দিচ্ছে গণমাধ্যম। তবে এই মাস্টার মাইন্ডের থাকা না থাকা অন্য কিছুর ওপর নির্ভর করে বলে মনে করেন ডি মারিয়া।
ডি মারিয়া বলেন, ‘সে আমাদের বাবার মতো। তবে এটা সত্য আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অনেক বড় চাপ। শুধু স্ক্যালোনি নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি সে যৌক্তিক সিদ্ধান্তটাই নেবে। আমি তাকে আরো বহু বছর আর্জেন্টিনার দায়িত্বে দেখতে চাই।’
এদিকে, মার্চ উইন্ডোর জন্য দুটো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ কনফার্ম করেছে আর্জেন্টিনা। আবারো চায়না ট্যুরে আসছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। হাংজুতে প্রথমে নাইজেরিয়া এবং পরে বেইজিংয়ে আইভরি কোস্টের মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসিরা।