পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবন ‘বানি গালা’ কে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গ্রেফতারের পর সেখানেই স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক এই ফার্স্ট লেডি বুধবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে জবাবদিহি আদালতে (অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট) স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে সেখানে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) দল তাকে হেফাজতে নেয়। এরপর ইসলামাবাদের প্রধান কমিশনার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইমরানের বাসভবন বানি গালাকে বুশরা বিবির সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটোরির প্রধান কমিশনার দোষী সাব্যস্ত হওয়া বুশরা বিবির বাসভবনকে (আবাসিক কম্পাউন্ড, খান হাউস বানিগালা, মোহরা নূর, ইসলামাবাদ) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করছেন।’
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, বানি গালার ভেতরে কারাগারের কর্মীরা অবস্থান করবেন এবং ইসলামাবাদ পুলিশের সদস্যরা ইমরান খানের এই বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকবেন। সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালতের (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট) বিচারক মুহাম্মদ বশির তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। আদালতের রায়ে ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫৭.৩ কোটি রুপি জরিমানাও করা হয়। এছাড়াও তাকে ১০ বছরের জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধও করেছেন আদালত।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সাইফার মামলায় ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ আদালত। একইসঙ্গে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও একই সাজা দেয়া হয়েছে।