বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ জানালেও তাদের আগুন সন্ত্রাসের বিষয়টি চেপে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দলটির গ্রেফতার করা নেতাদের স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোট ঠেকানোর ডাক দিয়ে আগুন সন্ত্রাসে মেতে ওঠে বিএনপি। একের পর এক বাস পোড়ানোর পর টার্গেট করে যাত্রীবাহী ট্রেনকেও।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ডিসেম্বর নাশকতার শিকার হয় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’। বিমানবন্দর পার হয়ে তেজগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগেই হঠাৎ আগুনে দিগবিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন যাত্রীরা। তিনটি বগিতে লাগা আগুনে এক বগিতেই মারা যান মা ও শিশুসহ ৪ জন।
এছাড়া ভোটের ২ দিন আগে গত ৫ জানুয়ারি গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এ ঘটনায় প্রাণ হারান আরও চারজন। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতিতে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব ঘটনায় জড়িত বিএনপির শীর্ষ নেতারা। পরিকল্পিতভাবে তারা যানবাহনে আগুন দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আগুন দেয়ার ঘটনার ভিডিও করে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠানো হতো।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন,
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় কয়েক হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে গণতন্ত্র সুসংহত করার পাশাপাশি শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে বলেও জানান মিলার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন,
আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার স্বচ্ছ জবাবদিহিতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করবে। দেশের উন্নতির লক্ষ্যে তারা দলমত নির্বিশেষে একত্রে কাজ করবে।
সংসদের বিরোধী দলীয় সদস্যদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ম্যাথিউ মিলার।