গত বছর ফুটবল কেনা-বেচায় আগের সব রেকর্ডকে ভেঙ্গে ফেলেছে বিশ্বের ক্লাবগুলো। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ফিফার প্রকাশিত গ্লোবাল ট্রান্সফার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে খেলোয়াড় কেনা-বেচায় ক্লাবগুলোর খরচ হয়েছে রেকর্ড ৯৬৩ কোটি ডলার। যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে ওই দুই বছর কমে যায় খেলোয়াড় কেনা-বেচার খরচ। কিন্তু এরপর থেকে এই ব্যয় কেবল বেড়েই চলছে। নির্দিষ্ট করে বললে ২০২৩ সালে।
খেলোয়াড় কেনা-বেচায় খরচের আগের রেকর্ড হয়েছিল ২০১৯ সালে। তার চেয়েও ২০০ কোটি ডলার বেশি খরচ করে ২০২৩ সালে ক্লাবগুলো। গত বছর সবচেয়ে বেশি ২৯৬ কোটি ডলার ব্যয় করেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো।
খরচের এই তালিকায় এরপরই রয়েছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। গত বছর আল নাসর পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি করার পর থেকে সৌদি প্রো লিগে যোগ দিয়েছেন ইউরোপিয়ান দলগুলোর বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার।
গত বছর ছেলেদের ফুটবলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে জুড বেলিংহ্যাম, বেনফিকা থেকে চেলসিতে এঞ্জো ফের্নান্দেস এবং টটেনহ্যাম থেকে বায়ার্ন মিউনিখে হ্যারি কেইনের ট্রান্সফার ছিল উল্লেখযোগ্য।
শুধু পুরুষদের ফুটবলেই নয়, নারী ফুটবলেও ২০২২ সালের তুলনায় বেশি কেনা-বেচা হয়েছে ২০২৩ সালে। গত বছর মেয়েদের ফুটবলে ২০ শতাংশ বেশি খেলোয়াড় দলবদল হয়েছে। যেখানে জড়িত ক্লাবের সংখ্যা ২০২২ সালে ৫০৭ থেকে বেড়ে ৬২৩ হয়েছে।
ফিফা জানিয়েছে, গত বছর রেকর্ড ১৩১টি অ্যাসোসিয়েশন ১ হাজার ৮৮৮ নারী ট্রান্সফারে জড়িত ছিল। যেখানে বার্ষিক ব্যয় হয়েছে ৬১ লাখ ডলার। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৮৪.২ শতাংশ বেশি।