জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হওয়া ড্রোন হামলার জাবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের বিস্তৃতিও চান না বলে জানান।
দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে জর্ডানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেনাঘাঁটিতে ব্যাপক ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন মার্কিন সেনা। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। ঘটনার পরদিন সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। নিহতরা হলেন- কেনেডি ল্যাডন সেন্ডার্স (২৪), ব্রিয়োনা এলেক্সোন্দ্রিয়া মোফেট (২৩) এবং সার্জেন্ট উইলিয়াম জেরোমি রিভার্স (৪৬)। এদের সবাই ৭১৮ তম ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানিতে কর্মরত ছিল।
জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাব দিতে চান কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে বাইডেন জানান, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কীভাবে এ হামলার জবাব দেবেন।
বাইডেন আরও বলেন,
আমার মনে হয় না মধ্যপ্রচ্যে যুদ্ধের বিস্তৃতি প্রয়োজন।
এছাড়াও এ হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে বাইডেন বলেন,
যারা এ হামলা করেছে ইরান তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে, এদিক থেকে আমি তাদের এ হামলার জন্য দায়ী মনে করি।
যদিও ইরান জর্ডানের এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় ‘কয়েকটি স্তরের পন্থা’ বেছে নিতে পারে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ নয়, সম্ভাব্য একাধিক পদক্ষেপ থাকতে পারে… সময়ের সাথে সাথে সেগুলো সামনে আসতে পারে।’