স্থায়ীভাবে বসবাস কিংবা কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। দেশটিতে বৈধভাবে প্রবেশের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় ডিভি লটারি, যা গ্রিন কার্ড লটারি নামেও পরিচিত।
সাধারণত যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার তুলনামূলক কম, ডিভি কর্মসূচির আওতায় সেসব দেশের নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসন। তবে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ডিভি লটারির আবেদন বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২৫ সালের ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় গত ৪ অক্টোবর। আবেদন শেষ হয় ৭ নভেম্বর। বিদেশি নাগরিকদের ২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার গ্রিন কার্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অফিসিয়াল ওয়েব পোর্টালের (ইউএসএ.গভ) তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের ডিভি লটারির ফলাফল পাওয়া যাবে আগামী ৪ মে থেকে। ২০২৩ সালের লটারির ফল ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপলব্ধ ছিল।
তবে এই ডিভি প্রোগ্রামে অনেক দেশের নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন না। দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কলোম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ভিয়েতনাম।
২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে বলে বাংলাদেশ এই যোগ্যতা হারায়। আবেদনের যোগ্যতা হারানো অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের (দেড় শতাধিকের বেশি) ভিসা চালু রেখেছে। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে দেয়া ডিভি বেশি জনপ্রিয়। প্রতিবছর এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কমপক্ষে ৫৫ হাজার মানুষকে নাগরিকত্ব দেয় মার্কিন প্রশাসন।