ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই উঠিয়ে নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে মানুষ এবার নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা দেশের জনগণকে উপেক্ষা করে যেকোনো উপায়ে বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থন জোগাড় করতে ব্যস্ত। দেশে দেশে ধরনা দিয়ে কাকুতি মিনতি করছে। ডামি ভোটের নকল সরকার হীনম্মন্যতায় ভুগছে। প্রতারণার ডামি নির্বাচনে ভোট বর্জন করায় জনগণকে শায়েস্তা করছে সরকার।
তিনি আগামী শনিবার বিকাল ৩ টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে কাজীর দেউরী থেকে শুরু হওয়া মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করার আহবান জানান।
তিনি বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবীতে আগামী ২৭ জানুয়ারী শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত বাজারদরের এখন ভয়াবহ অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ধার দেনায়ও সংসার চালাতে পারছে না। ৭ জানুয়ারির পর থেকে মানুষে যেটিতে খেয়ে পড়ে বাঁচবে সেই জায়গাগুলোকে টার্গেট করে তারা সেটার দাম বৃদ্ধি করেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। কারণ ডামি সংসদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। সরকারের টপ টু বটম সিন্ডিকেট করে দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, গিসাস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুল আজিজ, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলাদলের জেসমিনা খানম, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, বিএনপি নেতা মো. মহসিন, রমজু মিয়া, মো. আলমগীর, জাকির হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, হাজী মো. ইলিয়াছ, কাজী শামসুল আলম, মো. ইলিয়াছ, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, হাজী আবু ফয়েজ, জসিম মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দীন, মো. সালাউদ্দীন, মহানগর ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাহউদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, এম এ হাসান বাপ্পা প্রমূখ।