গণতন্ত্র না থাকায় দেশে প্রতিনিয়ত আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র নাই বলেই আজ দেশের বিপুল সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষ দ্রব্যমূল্যের
ঊর্ধ্বগতিতে নিষ্পেষিত, আর শতকরা ৫ ভাগ মানুষ দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ একটাই–সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই সরকারের।
এ অবস্থার পরিবর্তনে ‘ভোটের অধিকার’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘৭৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। জাস্টিস আবদুস সাত্তারের সময়ের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী করেছে। শহীদ জিয়া ৭৯ সালে যে নির্বাচন করেছিলেন তাতেও বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া ৯১ সালে যে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হন সেই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নাই। আমরা গণতন্ত্রহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র আজ নেই, তিরোহিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। পরে তার মরদেহ দেশে এনে বনানীতে দাফন করা হয়।