বলিপাড়ার ধোঁয়াতোলা খবর যুগযুগ ধরে চলছে। আর তা হলো অমিতাভ-রেখার রসায়ন। তাদের বয়স বাড়লেও এ গুঞ্জন যেন থামছে না। সম্প্রতি অমিতাভ তার ব্লগে পুরানো একটি ছবি পোস্ট করায় আগুনের ফুলকি উঠেছে নেটপাড়ায়।
বলিউডের অন্যতম আইকনিক জুটি অমিতাভ-রেখা। কিন্তু তাদের মুখ দেখাদেখিতে বাধ সাধেন স্ত্রী জয়া বচ্চন। একটা সময় দুজনের পরকীয়ার গুঞ্জন নিয়ে সেসময়ের ম্যাগজিনগুলোতে কম লেখালেখি হয়নি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ছবিতে রেখা-অমিতাভের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিচলিত করেছিল জয়াকে। স্ত্রীকে খুশি রাখতে রেখার সঙ্গে সিনেমা না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন অমিতাভ। পরে অবশ্য যশ চোপড়ার ‘সিলসিলা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অমিতাভ, রেখা ও জয়া। ওটাই ছিল তাদের একসঙ্গে শেষ সিনেমা।
তবে গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) অমিতাভ তার ব্লগে রেখার একটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘বিরাট গল্প আছে, কোনও একদিন নিশ্চয় আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব’।
রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনেই অযোধ্যা রওনা দেয়ার কয়েকঘন্টা আগে অমিতাভের ব্লগে উঠে এসেছে রেখার ছবি! যা দেখে মনে প্রশ্ন জেগেছে অনেকেরই। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো একটি মুহূর্ত নিজের ব্লগে তুলে ধরেন বিগ বি।
সেই ছবিতে দেখা গেছে, বিনোদ খান্না, রাজ কাপুর, রণধীর কাপুর, মেহমুদ, শাম্মি কাপুর, কল্যাণ (সঙ্গীত পরিচালক) এবং রেখা। ছবিতে দেখা গেছে একহাতে মাইক, অন্যহাতটি দর্শকদের উদ্দশ্যে নাড়ছেন অমিতাভ। বাকিরা অমিতাভের পাশে দাঁড়িয়ে করতালি দিচ্ছেন। এক মিউজিকাল শো-এর ফাঁকে তোলা এই ছবি।
একটি সাক্ষাৎকারে অমিতাভের সঙ্গে প্রেম নিয়ে কথা বলেছিলেন রেখা, তিনি বলেন, ‘আমি কোনো পুরুষ, নারী বা শিশুকে দেখিনি যে প্রচন্ডভাবে ওই মানুষটাকে (অমিতাভ বচ্চন) ভালোবাসে না। আমিই বা কেন বাদ যাব?’
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘আপনি সত্যিটা জানতে চান? এটাই সত্যি। আমি কেন অস্বীকার করব? আমি কি তাকে ভালোবাসি না? হ্যাঁ, অবশ্যই ভালোবাসি। ওই মানুষটার জন্য আমি ভালোবাসা অনুভব করি। এটাই ধ্রুব সত্য।’
অমিতাভ বচ্চন ১৯৮৪তে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার। রাজীব গান্ধীর প্রস্তাবে রাজনীতিতে নাম লেখান অমিতাভ। ভোটের নির্বাচনে জয় লাভ করেন। ১৯৮৮তে স্বপরিবারে সুইজারল্যান্ডে পাড়ি জমান অমিতাভ। বোফর্স কেলেংকারীর মামলা, সুইস ব্যাংকে এক্যাউন্ট খোলা নিয়ে কম হয়রানি হতে হয়নি এই মেগাস্টারকে। ১৯৯৭সালে ডুবে যান আকন্ঠ দেনায়। নাম লেখান বিজ্ঞাপন জগতে। আট বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেনামুক্ত হন তিনি।