এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সময় সংবাদকে গোলাম মুর্তজা বলেন, পূর্ব নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় সম্প্রতি গরুর মাংসের দাম নিয়ে সভা করেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে গরুর মাংসের কোনো নির্ধারিত দাম থাকবে না। তবে সাময়িকভাবে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান গোলাম মুর্তজা।
নতুন এ দাম কতদিন কার্যকর থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত বাজারে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা কার্যকর ছিল। এখন সেটা থাকছে না। নতুন করে নির্ধারিত দাম কতদিন কার্যকর থাকবে তা নির্ভর করে গরুর দামের ওপর। গরুর দাম বাড়লে-কমলে দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মাংসের দাম যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখা হবে।
গরুর মাংসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গো-খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, নতুন করে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। কারণ গত ৩-৪ মাসে গো-খাদ্যের দাম বাড়েনি। গরুর দামও বাড়েনি।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি দাম বাড়ানোর জন্য বিডিএফএ-এর সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণের সময় কথা ছিল দাম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বিডিএফএ’র সঙ্গে আলোচনা করবে। তবে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা নিজেরাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যা যুক্তিসঙ্গত নয়।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, মাংস ব্যবসায়ীদের এ সিদ্ধান্তের আগেই বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায়। কোথাও কোথাও ৬৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও মাংসের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
এর আগে নানা নাটকীয়তার পর গত ৭ ডিসেম্বর থেকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি প্রতি মাসে গরুর দামের ওপর নির্ভর করে মাংসের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।