গাজায় হামাসের দেয়া যুদ্ধবন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের দেয়া প্রস্তাবটি ছিল- গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়া, ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়া এবং গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেয়ার বিনিময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, নেতানিয়াহু ইসরাইলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে চাপের মধ্যে থাকলেও, হামাসের দেয়া এই যুদ্ধবন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাসের এই শর্ত মেনে নেয়া মানে হামাসকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া ও ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে অকার্যকর প্রমাণ করা।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন,
‘দানব হামাসের আত্মসমর্পণের সব শর্ত সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি। যদি আমরা এই শর্ত মেনে নেই, আমরা আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারব না। উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারব না। পরবর্তী ৭ অক্টোবর শুধু একটা সময় হয়েই থাকবে, কোন অর্থ তৈরি করবে না।
এর আগে আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের ওপর ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোন সমঝোতা করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
গত বছরের নভেম্বরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করার বিনিময়ে ১০০ ইসরাইলী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরাইলের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আরও ১৩৬ জন ইসরাইলি হামাসের হাতে বন্দি আছে।
এদিকে, গাজায় ইসরাইলী বন্দিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির আহবান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে তার ডানপন্থী জোটের ক্ষমতাসীন নেতারা গাজায় যুদ্ধ বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন, আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার সম্পর্ক শীতল হওয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চাপের মধ্যে আছেন ইসরাইলের এই প্রধানমন্ত্রী।