বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে সরকার, তবে শেষ রক্ষা হবে না-এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। এদিকে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তাদের অভিযোগ, একদলীয় শাসন কায়েম করতে রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকে ব্যবহার করছে ক্ষমতাসীনরা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীতে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবির আন্দোলনে এখন বিএনপি। সেই লক্ষে নয়াপল্টনে সমমনা দলগুলো গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। এ সময় সরকারের সমালোচনা করে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করছে। পরিকল্পিতভাবে দমন করা হচ্ছে বিরোধী মতকে।
রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন,
বন্দুকের নলের ওপর ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইলেও শেষ রক্ষা হবে না।
এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার দেশের গণতন্ত্রকে পঙ্গু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ধোঁকাবাজির নির্বাচন করতে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে তিন-চার মাস ধরে গ্রেফতার করেছে।
কোনোকালেই নিপীড়ক আওয়ামী সরকার সদিচ্ছাপ্রসূত রাজনৈতিক আচরণ করেনি। ওদের হাতের মুঠোয় ধ্বংসের শক্তি আর ভাষায় বিদ্বেষের শক্তি। তাই জনগণের ভোটের অধিকার ফেরানোর লক্ষে নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
রিজভী বলেন,
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গণতন্ত্রকে বিকলাঙ্গ করে উদ্ভট রাষ্ট্রে পরিণত করে, দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন করছে বিএনপি। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বিরোধী দল দমনে ক্ষমতাসীনরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। জামিন পেয়েও নেতাকর্মীরা কারামুক্ত হতে পারছেন না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আদালত জামিন দিলেও জেলগেটে ঘুষ দেয়া ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত হতে পারছেন না। টাকা না দিলে জেলগেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবার তাদের গ্রেফতার করছে।