দেড় বছর পর ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে দেয়ার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) সূচকের পতন হলেও আজ গতি ফিরেছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস অর্থাৎ সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এ সময় লেনদেন হয়েছে ৬৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেড় বছর পর রোববার পুঁজিবাজার থেকে উঠে গেছে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা)। এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ১৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে নামে যথাক্রমে ২ হাজার ১৩৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট ও ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিনের শুরুতে সূচকের কিছুটা পতন হলেও তা ঘুরে দাঁড়ায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ডিএসইএক্স সূচক ১০ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ৫ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে ও ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে।
এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৮টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪২টির। অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দাম। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস থাকবে, যা রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে শেয়ারবাজারে সূচকের পতন ঠেকাতে ২০২১ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল বছরের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ছিল।