সমুদ্রসীমায় নজরদারি চালাতে এবার তুরস্ক থেকে ড্রোন কিনছে মালদ্বীপ। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং সমুদ্রসীমায় নজরদারি চালাতে মুইজ্জু প্রশাসন ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের চুক্তি করেছে। তবে, সামরিক সেই ড্রোন অস্ত্রবাহী কিনা, তা এখনো নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।
মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সমুদ্রসীমায় নজরদারি বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে ভারতীয় বাহিনী। নয়াদিল্লি মালেকে ডরনিয়ার বিমান ও দুটি হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল। বিমানটি নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হলেও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রোগী পরিবহনের কাজ হয়।
আর বিমান ও হেলিকপ্টার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মালদ্বীপে ভারতীয় বাহিনীর ৮৮ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবনির্বাচিত মালদ্বীপ সরকার। ১৫ মার্চ সেই সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই তুরস্ক থেকে সামরিক ড্রোন কেনার চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ হলো।
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রসীমায় নজরদারির যে কাজ এত দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা করে এসেছেন, নতুন সরকার সেই কাজ এখন থেকে নিজেরাই করবে।
এদিকে, মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার না করতে সমাধান খুঁজছে ভারত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন সমাধানের আভাস মেলেনি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের অর্থ হলো ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়া। পাশাপাশি কৌশলগত জায়গাটি চীনের হাতে তুলে দেয়া। অবশ্য ভারত চেষ্টা করছে, সে দেশকে উপহার দেয়া একটি বিমান ও দুটি হেলিকপ্টারের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যদি সামান্য কয়েকজন সামরিক সদস্যকে রাখা যায় সেই বোঝাপড়ায় আসতে। তবে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে মত বিশ্লেষকদের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের উপমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কটূক্তির জেরে টানাপোড়েন চলছে দুদেশের সম্পর্কে। এর পর থেকে সময় যত যাচ্ছে তিক্ততা যেন ততই বাড়ছে।