আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মহড়া চালিয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্সের।
ইরানের নতুন এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের যেকোনো হামলা প্রতিহতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মহড়া চালিয়েছে তারা। এতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুদের আকাশ হামলা প্রতিহতের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
ইরানের এ মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের উপকূলী এলাকার আকাশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নতুন এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের যেকোনো হামলা প্রতিহতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।
ওই মুখপাত্র বলেন, সামরিক সক্ষমতা নিরাপত্তা জোরদার করা প্রোয়োজন। এই মহড়ার মাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এছাড়া এটা আমাদের শত্রুদের জন্যও সতর্ক বার্তা, তারা যেনো ইরানকে হুমকি না দেয়।
গাজা ইস্যুতে ইসরাইলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে আঞ্চলিক অস্থিরতা।ইরানের নিজেদের নিরাপত্তার সঙ্গে রয়েছে সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধরত ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিরাপত্তা সুসংহত করা। এরমধ্যেই সম্প্রতি প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটি। এর জেরে তৈরি হয়েছে নানা নতুন মেরুকরণ।
গেল বৃহস্পতিবার ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে দেশটির সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও এটি ছিলো পাকিস্তান ভূখন্ডে ইরানের হামলার জবাব। পাল্টাপল্টি এসব পদক্ষেপের জেরে দু’দেশের সামিরক উত্তেজনা পৌঁছায় তুঙ্গে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য প্রধান শত্রু ইসরাইল প্রতিনিয়ত ইরানে হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় কাজ করছে দেশটি।