Homeসর্বশেষ সংবাদলালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার

এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথাবিহীন এক ভ্যান চালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিড়পাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভুট্টা ক্ষেতে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগিমারী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভ্যান চালক মানিকুল ইসলামের মরদেহ এটি তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার । তিনি এলাকায় ভ্যান চুরির অভিযোগে কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল কাজ করছে। আজ শুক্রবার রাতে ওই দলটি হাতীবান্ধা থানায় মানিকুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভ্যান চুরির অভিযোগে মনিকুল ইসলাম কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আজ ভুট্টা ক্ষেতে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্বার করা হয়। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত না হলেও ধারনা করা হচ্ছে, ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মানিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন। ওই চুরির ঘটনায় মানিকুলের সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিলেন তাদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব দেখা দিলে মনিকুলকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের বাবুলের একটি ভ্যান হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে থেকে  চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হয়। শুক্রবার  বিকেলে ভুট্টা ক্ষেতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। তার স্বামী তাকে জানান, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮ টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালবেলা হাতীবান্ধা  থানার পুলিশ মানিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য  লালমনিরহাট মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে আজ শনিবার ওই যুবকের কাটা মাথা একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা্ হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত মানিকুল ইসলামের মা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে মূল আসামি খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে।
Exit mobile version