দেশের ব্যবসায়ীরা সব সময়ই কর দিতে আগ্রহী। কারণ, কর না দিলে দেশের উন্নয়ন হবে না। তবে দেশের কর বনাম জিডিপি অনুপাত বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের থেকে কম। দেশে করদাতাদের সংখ্যা বাড়াতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার (জানুয়ারি ২০) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ‘সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশে ৮০ লাখেরও বেশি উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করের আওতার বাইরে। বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাতের হার বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে দেশের উপযুক্ত করদাতাতের করজালে আনতে হবে। আর এ উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই।
ব্যবসায়ীরা সব সময়ই ট্যাক্স দিতে আগ্রহী উল্লেখ করে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ট্যাক্স না দিলে দেশের উন্নয়ন হবে না। তাই কর দিতে পারলে ব্যবসায়ীদের থেকে আর বেশি খুশি কেউ হয় না। কিন্তু কর দেয়ার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন। এ বিষয়গুলো সহজ করে মানুষকে করদানে উদ্ধুদ্ধ করতে সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে।
আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও আকৃষ্ট করতে দেশের আইনকানুনকে আরও যুগোপযোগী করতে হবে। ঔপনিবেশিক বা গত শতাব্দীতে প্রণীত আইন কানুন দিয়ে বর্তমান যুগের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ঢুকে গেছে উল্লেখ করে ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন রফতানিমুখী। আর এই বাস্তবতায় বাকি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে আরও উন্নত ও গতিশীল করতে হবে।
তিনি বলেন, এক সময় দেশের রফতানি বাজার বলতে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারকেই বোঝানো হতো। কিন্তু এখন চীন, ভারত ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল বাজার। সে সব বাজারের দিকেও নজর দিতে হবে।