রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একেকটি পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হচ্ছে। এরপর দিন, মাস, বছর গড়ালেও পূরণ হচ্ছে না সেই প্রত্যাশা। ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত পণ্যের বাজার চাহিদা তৈরিতে। তবে এবারের বর্ষপণ্য ঘিরে সফলতার স্বপ্ন দেখছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
প্রায় ১০ বছর ধরে রফতানি আয়ে ৮০ শতাংশের বেশি আসছে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। একক এই বাণিজ্য নির্ভরতা থেকে বের হয়ে পণ্যভিত্তিক রফতানিকে উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে কয়েক বছর ধরেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী দিনে সম্ভাবনা বিবেচনায় একেকটি পণ্যকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
তবে গত কয়েক বছরের রফতানি আয়ের তথ্য পর্যালোচনায় মিলেনি বর্ষপণ্যের কোনো ভালো খবর। এরমধ্যেই আবার রোববার (২১ জানুয়ারি) ঘোষণা হতে যাচ্ছে নতুন বর্ষপণ্যের নাম। এক্ষেত্রে বিগত দিনের ব্যর্থতা মুছে এবার সফল হতে চায় ইপিবি।
এবিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান বলেন,
পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা গত বছর এতই কম ছিল যে আমাদের শত চেষ্টার পরও আমরা চ্যালেঞ্জগুলো উতরে যেতে পারিনি। আমরা সাধারণত সম্ভাবনাময় পণ্যকেই বর্ষপণ্য হিসেবে নির্ধারণ করে থাকি। আমরা সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বর্ষপণ্য ঘোষণা করব।
এদিকে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরাও চান রফতানি বাজারে শক্তিশালী হয়ে উঠুক আরও অনেক পণ্য। যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত করবে।
এবিষয়ে নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘একটি শিল্পখাতের ওপর নির্ভরতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা দরকার। অন্যান্য খাতগুলো এগিয়ে আসুক সেটি আমরাও চাই। সেগুলো আসলেই দেশের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। সরকার কিন্তু ওই খাতগুলোর উন্নয়নে নানাভাবে সহায়তা করছে। কিন্তু অন্যান্য খাত কেন এগিয়ে আসছে না, আমার মনে হয় সেই বিষয়গুলো আমাদের একটু খতিয়ে দেখা দরকার।’
প্রসঙ্গত, ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কোন পণ্য পেতে যাচ্ছে বর্ষপণ্যের স্বীকৃতি ও বিশেষ নজর তা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।