নির্বাচনের পর জামিন পেতে মরিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। উচ্চ আদালত থেকে বিচারিক আদালতে দৌড়ঝাঁপ করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। আদালত পাড়ায় স্বজনদের ভিড়ও বেড়েছে। শিগগির কারাগারে থাকা নেতাকর্মীরা মুক্ত হয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হবেন এমনটা মনে করেন দলটির আইনজীবী নেতারা।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারা মুক্তির বাধা কাটাতে তার আরেক মামলায় জামিন দরকার। এজন্য চলছে আইনি তৎপরতা।
অপরদিকে পাঁচ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন পেয়েছেন। তবে নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরও চার মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাকি শীর্ষ নেতারাও জামিন পেতে উচ্চ আদালত থেকে বিচারিক আদালতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। নির্বাচনের আগে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের জামিনে বের করতে কাজ করছে আইনজীবীদের সমন্বয়ে একটি সেল।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সময় সংবাদকে বলেন, ৬৪ জেলাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করতে আইনজীবী নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যাতে করে আইনগতভাবে মোকাবিলা করে অহেতুক মামলায় কারাবন্দি নেতাকর্মীকে মুক্ত করতে পারবো। শিগগির তারা মুক্ত হয়ে চলমান আন্দোলনে শামিল হবেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, যারা জেলে আছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনি সহায়তা দিচ্ছি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগির তারা কারাগার থেকে বিজয়ী বেশে বের হয়ে আসবেন।
বিএনপির হিসাব মতে, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে সারাদেশে ১ হাজার ১৭৫টি মামলায় ২৭ হাজার ৪৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।