নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার আলাদা ৪ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
এছাড়া নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরও ৪ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ৮ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আট মামলায় বিএনপির এ নেতার জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
ওইদিন বিএনপির এ নেতার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, ২ নভেম্বর আমীর খসরুকেকে গ্রেফতার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে না পুলিশ। সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদনগুলো নিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিষ্পত্তি করছেন না। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার দেখানো ওই দুই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। অপর আট মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চারটি এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা। এ মামলাগুলোর মধ্যে আজ ৪টির জামিন হলো। এনিয়ে মোট ৬ মামলায় জামিন পেলেন খসরু।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরেরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।