বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। রাজনীতির মাঠেও তার দাপট কম নয়, ইতোমধ্যে নড়াইল-২ আসন থেকে দু’বার সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বিপিএলেও তার রয়েছে ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার। তারকা এই ক্রিকেটারকে এবারও অধিনায়ক হিসেবে ধরে রেখেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষ থেকে মাশরাফীকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সামাজিকমাধ্যমে মাশরাফীর ছবি শেয়ার করে সিলেট লিখেছিল, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক। মাঠের অধিনায়ক। হৃদয়ের নেতা।’
বিপিএলের নবম আসরে পঞ্চমবারের মতো ফাইনাল খেলছেন মাশরাফী। তবে সিলেটকে শিরোপা জেতাতে ব্যর্থ হলেও অধিনায়কত্বে দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা। বিপিএলের অভিশপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেটকে ফাইনালে তোলার পেছনে মাশরাফীর ক্ষুরধার নেতৃত্বকেই বড় করে দেখেছেন ভক্তরা। তাতে দশম আসরেও তাকে অধিনায়ক হিসেবে রেখেছে সিলেট।
২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স শিরোপা জেতে মাশরাফীর নেতৃত্বে। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসরেও ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স শিরোপা জেতে মাশরাফীর অধিনায়কত্বে। টানা দুই আসরে শিরোপা জিতে চমক দেখান দ্য ম্যাশ।
এরপরে ২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসরে ঢাকার বদলে মাশরাফী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেতৃত্ব দেন। দল বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাও হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়। ঢাকা ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফী জেতেন হ্যাটট্রিক শিরোপা। আর ঢাকার শিরোপা মাশরাফীর সঙ্গে চলে যায় কুমিল্লার ঘরে।
বিপিএলের চতুর্থ আসরে মাশরাফী ব্যর্থ হলেও পঞ্চম আসরে তিনি রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা জেতান। এরপরে তিন আসরে আলো দেখাতে না পারলেও নবম আসরে সিলেটকে ফাইনালে তুলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এবার তার ওপরেই ভরসা রেখেছে দল। আর তার সহকারী হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ মিঠুন। শুরুতে অবশ্য মিঠুনকেই অধিনায়ক করার প্রসঙ্গ সামনে এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মাশরাফীই থাকছেন কাণ্ডারির দায়িত্বে।