বিশ্ববাজারে আগামী দুই বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা তুলনামূলক বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস (ওপেক)। এর আগে গত ডিসেম্বরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিল ওপেক। এদিকে তীব্র শীতে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে তেলের দাম।
ওপেক তাদের মাসিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক চাহিদা ২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়বে। ২০২৫ সালে এই চাহিদা দৈনিক ১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়ে দাঁড়াবে ১০৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ব্যারেলে।
তবে ক্রমবর্ধমান সরবরাহ, ধীরগতিতে চাহিদা বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা সত্ত্বেও চলতি বছর তেলের বাজার একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে থাকবে বলে মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল।
এদিকে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে লেনদেনের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ২৮ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ১৬ ডলারে। এছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৩৪ সেন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭২ দশমিক ৯০ ডলারে।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী রাজ্য নর্থ ডাকোটার তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে যাওয়ায় সেখানের তেলের উৎপাদন দৈনিক ৬ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৭ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। যা তাদের সাধারণ সময়ের উৎপাদনের অর্ধেকেরও কম বলে জানিয়েছে রাজ্যটি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানের বরাতে বাজার সূত্রে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশীয় অপরিশোধিত মজুত ৪ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, লোহিত সাগর রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলোয় হাউথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণের কারণে অনেক জাহাজ ও সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনকারী কোম্পানি বাধ্য আফ্রিকার সুদূর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কেপ অব গুড হোপ রুট দিয়ে তাদের জাহাজ ঘুরিয়ে পরিবহন করছে। এতে বাড়ছে পরিবহনের সময় এবং খরচ।