নিজের ক্ষমতা দেখাতে আগের দিন মাইকিং করে মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছে জামালপুরের দুই গ্রামের মানুষ। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষমেশ বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় হাজারো মানুষ।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায়চর পুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ওআকন্দপাড়া গ্রামে। মাইকিং করে লাঠি, সোটা, দেশীও অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের প্রস্তুতি চলছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, নির্বাচনী প্রতিহিংসায় কারণে এ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছিল দুই গ্রামবাসী। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ও আকন্দ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গেল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগ্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। নির্বাচনের ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে আকন্দপাড়া এলাকায় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লূৎফর কাজী ও তার লোকজন নৌকা প্রতীকের সমর্থক আসাদুল হক আশা মেম্বারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে।
এরই জের ধরে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লুৎফর কাজী ও তার লোকজন সন্ধ্যার দিকে মাইকিং করে দুই এলাকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘোষণা দেন। পরে বুধবার সকালে দুই এলাকার হাজার মানুষ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।
লুৎফর কাজী জানান, তিনি প্রথমে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। ভোটগ্রহণের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে তিনি নৌকা প্রতীকের সমর্থক হয়েছেন। নৌকায় ভোট দিয়েছেন। কে বা কারা মাইকিং করেছে। সেটা তিনি জানেন না। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটায়। দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ওই দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আবারও যাতে সংঘর্ষ ও দুই এলাকায় মানুষ একত্রিত না হতে পারে সেকারণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন দুই গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।