আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ভালো হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন মিডিয়া উপস্থিত ছিল। নির্বাচনের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলেনি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বহু দেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে তারা অনেক কথা বলেছে।
তিনি বলেন, ‘৪২.৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। দু-একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। সারা দুনিয়ার পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নামি-দামি মিডিয়া অনেকে উপস্থিত ছিল, কিন্তু নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কিছুই ছিল না। সুন্দর, ভালো নির্বাচনের প্রশংসা আমরা সারা দুনিয়ায় শুনতে পেয়েছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেবল একটি মহলই নানা কথা বলছে। যারা নির্বাচন বয়কট করেছে, তারা এখন অনেক কথাই বলবে। তারা তো নির্বাচন হতে দেবে না বলেছিল, এখন তাদের সে আস্ফালন কোথায় গেল? তাদের আন্দোলনও ব্যর্থ। ভোটে এলে হেরে যাবে বলেই নির্বাচনে আসেনি। বিএনপির উঁচু থেকে নিচুতলা সবখানেই তাদের হতাশা। বিএনপিকে অন্তত আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। ভালো প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের উদ্ভাবন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন বলছে সংসদ অবৈধ। সংসদ গঠন নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি, আইনগত-সাংবিধানিকভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। শপথের মধ্য দিয়ে আগের সংসদ বহাল থাকার সুযোগ নেই। আগের সংসদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগের সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয় সাংবিধানিকভাবে।’
এবারের নির্বাচনে ইসি স্বাধীন ছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বকেন, এবারের নির্বাচনে দেখা গেছে, সরকারি দলের প্রার্থিতা বাতিল, শোকজ ভর্ৎসনা। এমন নজির আর কি দেখাতে পারবে?
তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কি পাতানো ছিল? পাকিস্তানের হাইকমিশনার পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে গেছে। যিনি কত জাদু দেখিয়েছেন, সেই পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন। এখন কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। এখন অপেক্ষায় কখন আসবে ভিসানীতি, অপেক্ষা করুন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত।
বিএনপি নিজেরাই অফিসে তালা লাগিয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, তালা লাগাতেও জানে, ভাঙতেও পারে। ৫ বছরের মধ্যে উল্টাপাল্টা বলে আর লাভ নেই। বিএনপিকে ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ অন্য নেতারা।