টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’ জিতেছেন লিওনেল মেসি। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল শিরোপা জেতা আর্লিং হলান্ড ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। মেসির দ্য বেস্ট জেতা নিয়ে এখন চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকের মতেই, এবার এই পুরস্কার জেতার মতো যথেষ্ট পারফরম্যান্স ছিল না মেসির।
গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) লন্ডনে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’ জিতে নেন মেসি। তবে এবারের পুরস্কারের জন্য মেসিকে যোগ্য মনে করেন না জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস। মেসিকে গত দুই দশকের সেরা ফুটবলার হিসেবে মেনে নিলেও এবারের পুরস্কারটি মেসির পাওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী এই জার্মান।
দ্য বেস্টে পুরস্কার দেওয়া হয় জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক, কোচ এবং দর্শক-গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটে। এবারের দ্য বেস্টে মেসি ও হলান্ডের পয়েন্ট ছিল সমান ৪৮। গত মৌসুমে একের পর এক শিরোপা জেতা হলান্ড অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের ভোটে। অধিকাংশ অধিনায়ক তাদের প্রথম পছন্দের ভোটটি দিয়েছেন মেসির বাক্সেই।
প্রথম ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে মেসি ম্যানচেস্টার সিটি তারকা হলান্ডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে। ১০৭জন অধিনায়ক ভোট দিয়েছেন মেসিকে। হলান্ড পেয়েছেন ৬৪ ভোট। সব মিলিয়ে অধিনায়কদের কাছে পাওয়া ভোটে মেসির পয়েন্ট দাঁড়ায় ৬৭৭ এবং হলান্ডের ৫৫৭। আর এই ব্যবধানই মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেয়।
ভোটের মাধ্যমেই মেসি পুরস্কার জিতলেও বিষয়টি হজম হচ্ছে না ম্যাথাউসের। তিনি বলেন, ‘এবার পুরস্কারটি সে জিততে পারে না। আমার মতে সে গত ২০ বছরের সেরা ফুটবলার। কিন্তু সে প্যারিসে এবং মায়ামিতে খেলেছে। যেখানে সে আলোড়ন তৈরি করেছে, কিন্তু বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি।’
নিজেকে মেসিভক্ত দাবি করলেও এর আগে তার ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ম্যাথাউস। এই জার্মান কিংবদন্তির মতে তা ছিল প্রহসন। স্কাই টিভিকে সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘গত এক বছরে হলান্ডের পারফরম্যান্স মেসির চেয়ে ভালো। মেসি এটা জেতার যোগ্য নয়। তারা দাবি করে, যে কোনো কিছুর ওপরে বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স। আমার চোখে হলান্ড শেষ ১২ মাসের সেরা খেলোয়াড়। ম্যানসিটির হয়ে শিরোপাও তার বেশি এবং অনেক গোল স্কোরিং রেকর্ডও ভেঙেছে। আমার চোখে হলান্ডের আশেপাশে কেউ নেই। এটা প্রহসন, যদিও আমি মেসিভক্ত।’