টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এবারও কমেছে চীনের জনসংখ্যা। এই পরিবর্তন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। খবর সিএনএনের।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনবিএস) জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৪০ কোটি ৯০ লাখে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ লাখ ৮০ হাজার কম।
এনবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশটিতে প্রতি এক হাজার জনের বিপরীতে শিশুর জন্মহার ৬ দশমিক ৩৯। ২০২২ সালেও এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে কম জন্মহারের রেকর্ড।
এনবিএস আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চীনে ৯০ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগের বছর দেশটিতে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছিল।
এনবিএস আরও জানিয়েছে, গত বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। দেশটির সরকার ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর চীনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ওই বছর মাত্র ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছিল চীনা অর্থনীতি।
যদিও গত তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বর্তমানে চীনের অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
চীনের অর্থনীতির জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় শ্রমশক্তি কমতে থাকা। দেশটিতে ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী শ্রমশক্তি ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। অন্যদিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার।
কয়েক দশক পর ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৬১ সালে মাও সে-তুংয়ের আমলের দুর্ভিক্ষের পর ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা প্রথমবার কমে। এছাড়া গত বছর ভারতের কাছে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার’ দেশের তকমা হারায় চীন।