ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সুত্রে জানাযায় র্যাব-৭, বিশেষ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:৩০ মিনিটের সময় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানাধীন বটতলী শাহ্ মোহসেন আউলিয়া মাজার এর পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশি শুরু করে।
এসময় র্যাবের চেকপোষ্টের দিকে আসা সন্দেহজনক একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি চেকপোষ্টের সামনে থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তৎক্ষণাত ২ জন সুকৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যগণ আসামি ১। মোঃ চান মিয়া সওদাগর (৬১), পিতা-আব্দুল মালেক, সাং-নাইকেন এবং ২। মোঃ ইসকেন্দর হোসেন বাপ্পী (৩৮), পিতা-মৃত শফি, সাং-শান্তির হাট, উভয়ের থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি এবং তাদের হেফাজতে থাকা প্রাইভেটকারের পিছনে মালমাল রাখার স্থান থেকে নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ৩২৩টি বায়ুরোধক পলিজিপার প্যাকেট হতে সর্বমোট ৬৪ হাজার ৭০০ পিস অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদ্বয়কে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।