তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। সে সঙ্গে নির্বাচনের পর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরকেও ভালোভাবে দেখছে না দেশটি।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে পশ্চিমাদের অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন উইলিয়াম লাই। নির্বাচিত হয়েই চীনের কাছ থেকে অঞ্চলটিকে নিরাপদ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও, সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অঞ্চলটির স্বাধীনতায় সমর্থন নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বার্তায় বেজায় চটেছে চীন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, এর মধ্যদিয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানানোর কথা ছিলো না ওয়াশিংটনের।
এদিকে, শুধু অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা দেখতে তাইপেতে নিজেদের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টি বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বেইজিং।
মিশর সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন,
যতোই কলকাঠি নাড়া হোক না কেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতা কখনোই সম্ভব হবে না।
অঞ্চলটি চীনের অংশ ছিলো এবং আগামীতেও থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে আসছে তাইওয়ান। নতুন প্রেসিডেন্ট সেই দাবির পূর্ণতা দেবেন বলে স্বপ্ন নাগরিকদের। যদিও, নির্বাচনের পরদিনই প্রণালীটিকে ঘিরে চীনা সামরিক মহড়ায় নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।