ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পর এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন, এরপর পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।
টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারও আগে রীতি মেনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদের বাকি ৩৬ জন সদস্য জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগই নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি (বুধবার) শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওই দিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলো আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়লেন।