তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। সন্ধ্যার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ভোট সম্পন্ন হলো দেশটিতে।
তাইওয়ানের এবারের নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যিনি জয়ী হবেন তার ওপর নির্ভর করবে চীনের সঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্রটির ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে।
তাইওয়ান দ্বীপটি স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে এটি চীনের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেইজিং।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভোট গণনায় ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ও প্রধান বিরোধী দল রক্ষণশীল কুয়োমিনতাং পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ডিপিপির প্রার্থী চীনবিরোধী লাই যিনি বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাকে ভোট না দেয়ার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে চীন। কারণ, লাই তাইওয়ানের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলেও লাইয়ের সঙ্গে থাকা অপর দুই প্রার্থী চীনপন্থি। জনমত জরিপে লাই এগিয়ে থাকলেও তিনি বিজয়ী হবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এবারের তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং ও রক্ষণশীল কুয়োমিনতাং পার্টির (কেএমটি) হো ইয়ু হই ছাড়াও তৃতীয় প্রার্থী হলেন তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) কো ওয়েন জে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে হাতে ভোট গণনা শুরু হয়।