টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার দুই দিনের সফরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শেখ হাসিনা। এসময় ৩ বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ’৭৫- এর ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেবেন।
এরপরে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন।
এরপর রোববার (১৪ জানুয়ারি) তার অপর নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় যাবেন। এদিন বেলা ৩টায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন। পরে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
আওয়ামী লীগ প্রধানের সফর উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। জেলাজুড়ে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগই নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলো আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়লেন।