বাংলাদেশে দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার প্রোগ্রাম। দেড় দিনের সফর সূচিতে নারী দলের সঙ্গে আলাদা সেগমেন্ট থাকবে বিশ্বকাপ জয়ী তারকার। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ডি মারিয়াকে নিয়ে গোছালো অনুষ্ঠান করতে চান কলকাতার ব্যবসায়ী শতদ্রু দত্ত। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে যেকোনো সময়ে বাংলাদেশে আসবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
একেবারেই লেজেগোবরে পরিস্থিতির তৈরি হয় শেষ যখন বাংলাদেশ এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো। নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্তিনেজের বেলাতেও। এত সব তিক্ত অভিজ্ঞতার ভিড়ে এবার আলোচনায় ডি মারিয়ার বাংলাদেশ সফর।
গেল বছর বিশ্ব কাঁপানো নামকরা ফুটবলররা লাল সবুজে এসেছেন ঠিকই, কিন্তু ভক্তদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের করার কোনো প্রচেষ্টায় করেনি আয়োজকরা। এবার অবশ্য সুর বদলেছে তারা। সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি ফুটবলারদের নিয়েও আলাদা সেগমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে প্রধান পরিকল্পনাকারী শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘এবার একটু উন্মুক্ত প্রোগ্রাম করব, যাতে সমর্থকরা দেখতে পারে। স্টেডিয়ামে কিছু করব, ফুটবল ট্রেনিংয়ে করব, উইমেন্স ফুটবল নিয়ে কিছু করব, স্পন্সরদের সঙ্গে মিট এন্ড গ্রিট থাকবে, প্রাইম মিনিস্টার থাকবেন। দেড় দিনের মতো পরিকল্পনা করছি। ফুল এন্ড হাফ থাকবে বাংলাদেশ।’
অনেকটা পর্দার আড়ালে থেকেই বাংলাদেশ ঘুরে যান এমি মার্তিনেজ এবং রোনালদিনহো। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গেও করা হয় অশোভন আচরণ। যদিও এসবের দায়িত্ব নিতে চান না কলকাতার ব্যবসায়ী শতদ্রু দত্ত। তার দাবি সব গণ্ডগোলের মূলে বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি।
শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘লোকাল যাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সে এরকম করেছিল। এবার আমি নিজে পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি। যা কিছুই করব নিজের তত্ত্বাবধানে। প্রেস বক্স আলাদা থাকবে, লোকেশন আলাদা থাকবে। সবকিছুই নিজে করব, কোনো বিতর্ক চাই না।’
আর্জেন্টাইন সুপার স্টার ডি মারিয়াকে আগামী মে’র ২০ থেকে ৫ জুনের মধ্যে আনার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন আয়োজকরা। এর মধ্যে তার ক্লাব বেনফিকার সঙ্গে হয়েছে পাকা আলোচনা। সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশে ডি মারিয়া অবস্থান করবেন দেড় দিন।
শতদ্রু বলেন, ‘মে’র ২০ থেকে ৫ জুনের মধ্যে যেকোনো একটা উইন্ডোতে ভারত-বাংলাদেশে আসবে ডি মারিয়া। এখন পর্যন্ত এটা ঠিক আছে। আসবে নিশ্চিত, মোটামুটি একটা দিন ঠিক করা হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে।’
ডি মারিয়ার পর আয়োজকদের পরবর্তী পরিকল্পনা লিওনেল মেসিকে বাংলাদেশ আনা। সর্বকালের সেরা ফুটবলারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও আনতে চান তারা।