বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা করে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কানাডা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
কানাডা বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে। নির্বাচনের আগে এবং ওই সময়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনারও নিন্দা জানায় কানাডা। সহিংসতায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়,
শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর বিরোধী দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, একইদিনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড।
এতে বলা হয়েছে,
লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশের কাছে ধারাবাহিকভাবে ‘অবাধ’ ও ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব’ তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
মানবাধিকারের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রচারের ওপর ভিত্তি করে অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশকে তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানায়।
সবশেষে বলা হয়েছে,
ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।