ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সময়টা এমনিতেই ভালো কাটছিল না জেডন সাঞ্চোর। তার ওপর কোচ এরিক টেন হ্যাগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জায়গা হারিয়েছেন দলে। তাতে রেড ডেভিল শিবিরে অনিশ্চয়তায় পড়েছিল তার ভবিষ্যত। অবশেষে সব অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে পুরনো ঠিকানা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে ফিরছেন সাঞ্চো।
তবে স্থায়ীভাবে নয়, জার্মান ক্লাবটিতে ২৩ বছর বয়সী ইংলিশ উইঙ্গারকে লোনে পাঠাচ্ছে ইউনাইটেড।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে বুধবার (১০ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন দলবদলের নির্ভরযোগ্য সূত্র ফ্যাব্রিজিও রোমানো। তিনি জানিয়েছেন, ইউনাইটেড ও ডর্টমুন্ডের মধ্যে সাঞ্চোকে নিয়ে ৪ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে অন্তর্ভূক্ত থাকবে বেতন ও লোন ফি। তবে চুক্তিতে ক্রয়ের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। সরাসরি লোনে তাকে দলে টেনেছে ডর্টমুন্ড।
২০১৭ সালে যোগ দেয়ার পর ডর্টমুন্ডের হয়ে চার মৌসুম খেলেছিলেন সাঞ্চো। সেখানে দ্যুতি ছড়িয়ে নজর কাড়েন নিজ দেশের ক্লাব ইউনাইটেডের। ২০২১ সালে তাকে ৭৩ পাউন্ডের বিনিময়ে দলে ভেড়ায় ইংলিশ ক্লাবটি। কিন্তু ডর্টমুন্ডের মতো ইউনাইটেড ক্যারিয়ারটা সেভাবে রাঙাতে পারেননি সাঞ্চো। রেড ডেভিলদের হয়ে ৮২ ম্যাচে মাত্র ১২ গোল করেন তিনি। অথচ ডর্টমুন্ডের হয়ে ১৩৭ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল ৫০।
ইউনাইটেডে সাঞ্চোর পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকেই অখুশি ছিলেন। তার ওপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একাদশে নিয়মিত থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়া সাঞ্চো ক্ষুব্ধ হয়ে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে দাবি করেছিলেন, কোচ নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে তাকে ‘বলীর পাঠা’ বানিয়েছেন। পড়ে অবশ্য এই পোস্ট তিনি মুছেও ফেলেন। কিন্তু ততক্ষণে ইউনাইটেড বসের রোষানলে পড়ে যান। অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় তার ভবিষ্যত।
ইউনাইটেডে জায়গা হারানো সাঞ্চো যোগাযোগ করেন ডর্টমুন্ডের সঙ্গে। উচ্চ বেতন-ভাতার কারণে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ানো সম্ভব না হলেও তার জন্য উপায় খুঁজে নেয় সাবেক ক্লাবটি। তাতে সব অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে লোনে পুরনো ঠিকানায় ফিরছেন এ উইঙ্গার। সবকিছু ঠিক থাকলে আজই ডর্টমুন্ডের বিমান ধরবেন তিনি।