আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের ভোট বানচালের অপচেষ্টায় জনগণ পাশে ছিল না। ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করলেও, সরকার কোনো বাধা দেয়নি। বিএনপি সব ভাবেই নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবারের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো জায়গা নেই৷
তবে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ সফল হওয়ায় গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাকে অকার্যকর করতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়৷ এরপর বিকৃত ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে মানুষের মানসিকতা। আমাদের ক্ষমতায় আসাটা অনেক কঠিন ছিল। মজার বিষয় হলো, স্বৈরশাসকরা ভোট চুরি করতো। তখন সেই ভোট নিয়ে কোনো কথা হতো না। আর আমরা যখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি, তখন নির্বাচন-গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!
তবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কোনো ষড়যন্ত্রেই পথ হারাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে না এলে এই দেশ এগোতে পারতো না। এই দল ক্ষমতায় ফিরেছে বলেই অগ্রযাত্রা আর ব্যাহত হবে না।
দেশের কিছু মানুষের জন্য আজ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব সুনাম করে বাংলাদেশের। কিন্তু দেশেরই কিছু মানুষ ভাবে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসাই মনে হয় ভালো ছিল, তাদের মতে।
এ সময় ১৫ আগস্ট স্বজনদের হারানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ফিরে এসে কাউকে পাইনি, পেয়েছি সারি সারি লাশ। আর জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ আর এক কদমও এগোয়নি৷ তবে আর কেউ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এরআগে, বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। শাহবাগ-টিএসসি মোড় ঘুরে দেখা যায়, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অনেকে জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে আসছেন। অনেকে আবার নৌকার ক্যাপ মাথা দিয়ে বিভিন্ন সাজে সেজেছেন। সমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।