মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান, নবীর শহর সৌদি আরবের মদিনায় ভারতের মহিলা, শিশু কল্যাণ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানির নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় সফর করেছে দেশটির প্রথম অমুসলিম প্রতিনিধিদল।
সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মদিনায় স্মৃতি জুবিন ইরানির নেতৃত্বে আসা এ দলটি ভারতীয় হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তৃতীয় হজ ও ওমরাহ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিতে সৌদি আসেন তারা। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালীধরন ও ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধিদল ভারত থেকে ওমরাহ ও হজযাত্রা আরও সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করতে এ সফর করেছে। শহরের মারকাজিয়া এলাকায় মসজিদে নববীর পরিধি পরিদর্শন করেছেন তারা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে অমুসলিমদের যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল। তারা মসজিদে নববীর পরিধি পরিদর্শন শেষে উহুদ পাহাড়, উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের স্থান ও কুবা মসজিদসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেন।
ঐতিহাসিক এ রাষ্ট্রীয় সফরের কথা বলতে গিয়ে ইরানি তার টুইটারে লেখেন, ‘সৌদি কর্মকর্তাদের সৌজন্যে আমরা ঐতিহাসিক এ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি। এগুলোর তাৎপর্য, প্রাথমিক ইসলামিক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক স্থানগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়েছি।’
ভারতের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত সরকার হজ সফরে যাওয়া ভারতীয় মুসলমানদের সুবিধা ও পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও যাতায়াত সহজ করতে এ প্রতিনিধি দল সৌদি সফর করেছেন।
এদিকে স্মৃতি জুবিন ইরানি ‘হিন্দুত্ববাদী দল’ হিসেবে পরিচিত বিজেপির একজন প্রতিনিধি। তিনি তিন তালাকের মতো প্রথার বিরোধিতা করে করে বলেছিলেন, ‘তিন তালাক নারীদের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি বিবাহবিচ্ছেদের একটি বিতর্কিত ইসলামিক প্রথা।’
রাষ্ট্রীয় এ সফরের দুই দিন আগে, জেদ্দায় ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ বছরের হজযাত্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জনের একটি কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মক্কা ও মদিনায় অমুসলিমদের যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল।