দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। পাবনা-১ আসনের ৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে আবু সাইয়িদ পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের ৬৮ নম্বর পাবনা-১ (বেড়ার আংশিক ও সাঁথিয়া) আসনে নির্বাচনের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বিতরণ, ঢুকতে না দেওয়া, ভোটের আগের রাতে এজেন্টদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে অন্যত্র আটকে রাখা, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের রক্তাক্ত করে বের করে দেওয়া, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে জোর করে ঢুকে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢোকানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।
কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাই এজেন্টদের অংশ নিতে দেননি। এ ছাড়া ব্যালট ছিনতাই করে বাক্সে ঢোকানো, ব্যালটের মুড়ি বইয়ে কোনো ভোটারের নম্বর না থাকা এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দিয়ে আগেই বহু ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে রাখার মতো গুরুতর অনিয়ম করা হয়েছে।
এসব অনিয়মের কারণে পাবনা-১ আসনের নির্বাচনে ফলাফল অবিলম্বে স্থগিত রাখা ও গেজেটভুক্ত না করতে এরই মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন আবু সাইয়িদ। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চান, যেহেতু এই আসনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়নি, তাই কমপক্ষে ৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অবিলম্বে বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
রোববারের নির্বাচনের ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট।