সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে পাওয়া ফলাফল থেকে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতি শেখ হাসিনা এ আসনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দু দফা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে একটানা ভোটগ্রহণ হয়।
তবে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে। এ আসনে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার।
এছাড়াও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফলও স্থগিত করা হয়েছে। মোট ২৯৮ আসনের বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেছেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া ফলাফলে দেখা যায়, ২৯৮ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে। এ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন একতারা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর। তিনি পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট।
ভোট পড়ার হারের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে গোপালগঞ্জ-২ আসন। এই আসনে ভোট পড়েছে ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে। এই আসনে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৬৩২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির মো. সামছুল হক। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
এ আসনের মতোই রাজধানীতে জাতীয় সংসদের যে ১৫টি আসন রয়েছে তার সব কয়টিতেই ভোট পড়ার হার বেশ কম। রাজধানীর ১৫টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে ঢাকা-১২ আসনে।
ঢাকা নগরীর আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১৫ এর পরেই কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৭ আসনে। এখানে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
ঢাকার আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা-৪ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মো. আওলাদ হোসেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন। জাতীয় পার্টির প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১১। আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ঢাকা-৫ আসনে। আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারুনর রশীদ মোল্লার প্রাপ্ত ভোট ৫০ হাজার ৩৩৪টি।