জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে আশ্বাস দেয়া হলেও ভোটের দিন সেই কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ। এবারও তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন করেছে।
তবে নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান না করে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর নগরীর স্কাইভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, শুধুমাত্র ছাড় দেয়া আসনগুলোতে পেশিশক্তির প্রভাব কম থাকলেও বাকি আসনগুলোতে ভোটের দিন জাপার এজেন্ট বের করে দেয়া, হুমকিসহ নানাভাবে প্রার্থীদের হয়রানি করেছে আওয়ামী লীগ। এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অবগত করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারা। ভোটের দিনও প্রশাসন সরকারের পক্ষে ছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ছাড়াও রংপুরে আসন কম পাওয়ায় জাপার প্রতি মানুষের আবেগ কমে যায়নি। কারণ এই অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থান আমাদের ছিলো। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ দেয়া হয়নি। সরকার যেখানে চেয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু, সেখানে সুষ্ঠু হয়েছে আর যেখানে তাদের নির্ধারিত প্রার্থী জিতবে সেখানে জিতিয়ে দিয়েছে এমনও কথা বলেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগি হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ, সেটি পায়নি। অথচ তারা কথা দিয়েছিল সুষ্ঠু পরিবেশ করে দেবে। আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া আসনগুলো ছাড়াও সারা দেশে আমাদের দেয়া প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থান ছিলো। কিন্তু ভোটের দিন আমাদের আওয়ামী লীগ অসহায় করেছে বলেও জানান জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাপার কো-চেয়ারম্যান রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিনসহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরে তিনি রংপুর-৩ আসন থেকে বিজয় পাওয়ায় বড় ভাই দলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মুন্সিপড়া কবরস্থানে তার বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জিএম কাদের।