দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। নির্বাচিত হওয়ার পরে তাকে এমপি সাহেব বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করেছেন।
রোববার (৭ জনুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার পরে উৎসুক জনতার মাঝে প্রতিক্রিয়া জানান ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নির্বাচিত হয়ে সুমন বলেন, ‘দুইটা জিনিস করবেন না। আজ থেকে কেউ আমাকে এমপি সাহেব ডাকবেন না। যারা আমার বড় তারা সুমন ডাকবেন, যারা আমার ছোট তারা ব্যারিস্টার ভাই, সুমন ভাই যা মন চায় ডাকবেন। আরেকটা জিনিস, আমাকে প্রধান অতিথি করা হলে কোনো জায়গায় আমার জন্য বড় চেয়ার করা যাবে না, সবার চেয়ার থাকবে সমান। আমি লিখিতভাবে বলে দিব।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘ভারতে দেখেছি, ওরা এমন গাড়ি চালায়, নেতাদের গাড়ি দেখলে মনে হবে গরীব। আর আমরা ব্যারিস্টার হয়েই গাড়ি চালাই। আমাদের মাথার মধ্যে ঢুকছে বড় গাড়ি না হলে নেতা বুঝা যায় না। ভালো মোটা গাড়ি না আনলে আপনারা বলবেন, এই লোক মনে হয় মাহবুব আলীর (নৌকার প্রার্থী) সঙ্গে কুলায় উঠতে পারছে না। আপনারা বাধ্য করছেন গাড়ি একটা কেনার জন্য। ৫০ লাখ টাকা লোন করে গাড়ি একটা কেনা লাগছে শেষ পর্যন্ত।’
এর আগে ভয় পাচ্ছেন উল্লেখ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘বেসসরকারি ফলাফলের হিসাবে আমি প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী। বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার কারণে আমার ভয় হচ্ছে। বেশি ভোটে জেতার কারণে আমার কাছে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এই দায়িত্বটা আমি ঠিকমতো পালন করতে পারব কিনা সেই ভয়। আমার হাতে এখন প্রায় আট লাখ মানুষ। তাদের ভাগ্য বদলে দেয়ার কথা আমি বলেছি। এটা নিয়ে আমি অনেক বেশি প্রেশার অনুভব করছি।‘
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী হবিগঞ্জ-৪ আসনের ১৭৭টি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকে ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা দুইবারের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। তাতে ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পান সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।