গেল অক্টোবরের শেষ দিকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও দুই নাতি-নাতনি হারিয়েছিলেন গাজার আল জাজিরা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। এবার ইসরাইলি হামলায় আরেক সন্তান হামজা আল-দাহদৌহকে হারিয়েছেন তিনি। হামজাও পেশায় সাংবাদিক ছিলেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হামজা নিহত হন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, সংবাদ সংগ্রহের কাজে খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলে গিয়েছিলেন হামজা। তার সঙ্গে ছিলেন ভিডিও সাংবাদিক মোস্তফা তুরিয়া। তাদের দুজনকে বহনকারী গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা আঘাত হানলে তারা নিহত হন।
আল জাজিরা জানিয়েছে আল-মাওয়াসির কাছে ইসরাইল ঘোষিত ‘সেফ জোন’ বা ‘নিরাপদ এলাকায়’ অবস্থান করছিলেন হামজা ও মোস্তফা। এসময় তাদের গাড়িতে ইসরাইলি রকেট আঘাত হানে। এতে তারা দুজনই নিহত হন। হাজেম রজব নামে ওই গাড়িতে থাকা অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে, জীবিত একমাত্র বড় ছেলেকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। কারণ, হামজার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার পরিবারের প্রায় সবাই নিহত হলো।
আল-দাহদৌহ আল জাজিরাকে বলেন,
হামজা আমার সবকিছু ছিল। আমার বড় ছেলে। আমার কলিজার টুকরা। আমার ছেলের রক্তের পর যেন আর কোনো ফিলিস্তিনি বা আর কোনো সাংবাদিকের রক্তে রঞ্জিত না হয় গাজা উপত্যকার মাটি।