বিশ্বের বৃহত্তম দুই মহাদেশ এশিয়া ও আফ্রিকা। অথচ এই দুই মহাদেশের কোনো দেশই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে আফ্রিকান ফুটবলারদের দাপট কহু একটা কম নয়। এমনকি সাবেক আফ্রিকান কলোনি দেশগুলোর খেলোয়াড়দের পর ভর করেই দুবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স। আফ্রিকান দলগুলোয় প্রতিভার ঘাটতি দেখছেন না কিংবদন্তি স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতো। আফ্রিকান দলগুলোর বিশ্বকাপ না জেতার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
কাতার বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিল মরক্কো। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো দলকে পেছনে ফেলে তারা এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। আশরাফ হাকিমি, ইয়াসিন বুনুদের এমন পারফরম্যান্স সবাইকে অবাক করলেও স্যামুয়েল ইতো মোটেই অবাক হননি। বরং বিশ্বকাপ শুরুর আগে অল-আফ্রিকান সেমিফাইনালের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ক্যামেরুনের সাবেক এই স্ট্রাইকার।
বর্তমানে ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবের হয়ে খেলা ইতো। আফ্রিকার ফুটবল ইতহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়। তার মতে, ইউরোপের চেয়ে আফ্রিকা প্রতিভায় পিছিয়ে নেই। তাই অদূর ভবিষ্যতে একটি আফ্রিকান দেশের বিশ্বকাপ জিততে না পারার কোন কারণ দেখছেন না তিনি।
দ্যা অ্যাথলেটিককে ইতো বলেন, ‘আফ্রিকানদের অনেক প্রতিভা আছে, ইউরোপীয়দেরই বরং একটু কম। আমি বুঝতে পারছি না কেন একটি আফ্রিকান দেশ বিশ্বকাপ জিতবে না।’
ইতোর মতে বিশ্বকাপ জেতা সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি। তিনি বলেন, ‘এটা (বিশ্বকাপ জেতা) এমনকি সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি। এটা মাত্র কয়েকটি ফুটবল ম্যাচ জেতার ব্যাপার।’
ক্যামেরুনের হয়ে মোট চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন ইতো। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এরপরে ২০০২ ও ২০১০ এর বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ খেলেন। এর মধ্যে ২০০২ এ ১টি এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ২টি গোল করেন। ২০১৪ সালে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ১টি ম্যাচ খেললেও কোনো গোল করতে পারেননি তিনি।